নিয়মিত তুলসী পাতা খান, অনেক উপকার
বাড়িতে জায়গা থাকলে তো কথাই নেই এমনকি শহরের ভাড়া বাসাতেও আপনি তুলসি গাছ লাগাতে পারেন।কারণ তুলসী পাতা অনেক উপকারী। প্রাচীন কাল থেকে তুলসীর ভেষজ গুণ নিয়ে আলোচনা করে গেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাহলে জেনে নেই তুলসীর কিছু গুণ:
ঠান্ডা এড়াতে-আমাদের দেশে ঠান্ডায় এই গাছটির পাতা বহুল ব্যবহৃত। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা গরম পানি দিয়ে কিংবা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
রোগ নিরাময় ক্ষমতা-এই গাছটি ঔষধি-গুণাবলি সমৃদ্ধ। এটা স্নায়ু ও স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূরীকরনেও এর পাতা ব্যাপক অবদান রাখে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত।
হার্টের অসুখ-এর পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মাথা ব্যথা-মাথা ব্যথা ও শরীরের ব্যথা কমাতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী বলে ভেষজবিদরা বলে থাকেন। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতেও সহায়তা করে।
মানসিক চাপ-তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এ ছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকায়-ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে যা বয়সজনিত সমস্যাগুলোকে কমায়। অনেকের কাছে তুলসী পাতা যৌবন ধরে রাখারও উপায়।
পোকা মাকড়ের কামড়েও উপকারী-তুলসী পাতা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপশম করে। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।
ত্বকের সমস্যা-এর পাতা বেঁটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এ ছাড়াও তিল তেলে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যে কোনও সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনও দাগ থাকবে না। (সংগৃহীত)