ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চর্চা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর
বাংলাদেশে বটগাছ না ইউক্যালিপটাস বেশি? এ ব্যাপারে কোন পরিসংখ্যান না মিললেও দৃশ্যমানতা বিচারে দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে ইউক্যালিপটাসই বেশি। বিশেষ করে সত্তরের দশকের শেষদিকে এই বিদেশী গাছটি এদেশে ব্যাপকভাবে আদৃত হয়। শুধু ইউক্যালিপটাসই নয়, আছে আকাশমনির মতো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিদেশী গাছ। শুধু তাই নয়, দ্রুত লাভের জন্য পরিবেশবান্ধব গাছগাছালি বাদ দিয়ে এখন ইউক্যালিপটাস, আকাশমণির মতো ক্ষতিকর বিদেশী গাছের চর্চা চলছে সর্বত্র। তাতে কমে যাচ্ছে বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে লাগানো দেশী গাছগুলো।
ইউক্যালিপটাস সরকারী উদ্যোগেই এদেশে আসে ১৯৬০ সালে। তারপর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীর সুবাদে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবেশ হানিকর ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি গাছ শুধু কাঠের চিন্তায় লাগানো হয়ে থাকে। পরিবেশ-প্রকৃতি বিবেচনায় যা ক্ষতিকর। একটি গাছের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে পরিবেশ প্রকৃতির বিষয়টিও। অনেক প্রজাতির পশু-পাখি, অনুজীব গাছগাছালি থেকে উপকৃত হয়ে থাকে। তাছাড়া এ দুটি গাছ প্রচুর পানি শোষণ করে। বিশেষ করে ইউক্যালিপটাস গাছ। মজার ব্যাপার হলো এসব বিদেশী গাছে দেশী পাখিরা পর্যন্ত বসে না।